Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

শিরোনাম
দারিদ্র্য বিমোচন
বিস্তারিত

 

১। পল্লী সমাজসেবা

২।পল্লী মাতৃকেন্দ্র

৩। দগ্ধ ও প্রতিবন্ধীদের পুনর্বাসন

 

১। পল্লী সমাজসেবা

সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়াধীন সমাজসেবা অধিদফতর কর্তৃক বাস্তবায়িত পল্লী সমাজসেবা (আরএসএস) কার্যক্রম দেশের পল্লী অঞ্চলে বসবাসরত দুস্থ, অসহায়, অবহেলিত, অনগ্রসর ও পশ্চাৎপদ জনগোষ্ঠীর দারিদ্র্য বিমোচনের লক্ষ্যে পরিচালিত হচ্ছে। পল্লী সমাজসেবা (আরএসএস) কার্যক্রমের আওতায় বাংলাদেশে সর্বপ্রথম সুদমুক্ত ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রমের সূত্রপাত। ফলে এ কার্যক্রমটি বাংলাদেশ ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রমের সুতিকাগার এবং পথিকৃৎ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। এ কর্মসূচি বাংলাদেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অর্থনৈতিক মুক্তির ক্ষেত্রে সূচনা করে এক নতুন ও যুগান্তকারী ইতিহাস।

 

জাতির জনব বঙ্গবন্ধুর দিকনির্দেশনায় সমাজসেবা অধিদফতর ১৯৭৪ সালে পরীক্ষামূলকভাবে তৎকালীন ১৯টি থানায় ‘পল্লী সমাজসেবা কার্যক্রম’ শুরু করে। এর সফলতার আলোকে ১৯৭৭ সালে আরও ২১টি থানায় এ কার্যক্রম সম্প্রসারণ করা হয়। পরবর্তীতে সম্প্রসারিত পল্লী সমাজসেবা কার্যক্রম ২য় পর্বে (১৯৮০-৮৭) ১০৩টি উপজেলায়, ৩য় পর্বে (১৯৮৭-৯২) ১২০টি উপজেলায়, ৪র্থ পর্বে (১৯৯২-৯৫) ৮১টি উপজেলায়, ৫ম পর্বে (১৯৯৫-২০০২) ১১৯টি উপজেলায়, ৬ষ্ঠ পর্বে (২০০৪-০৭) ৪৭০টি উপজেলায় এবং বর্তমানে এরই ধারাবাহিকতায় দেশের সকল উপজেলায় বাস্তবায়িত হচ্ছে। এ কর্মসূচির মাধ্যমে পল্লী অঞ্চলে বসবাসরত ভূমিহীন, দারিদ্র্যসীমার নীচে বসবাসরত জনগোষ্ঠীর মধ্যে সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টি করে বিভিন্ন কর্মদলে সুসংগঠিত করা হয়ে থাকে এবং সুদমুক্ত ক্ষুদ্র পুঁজি প্রদানের মাধ্যমে উৎপাদনমূলক ও আয়বর্ধক কর্মসূচিতে সম্পৃক্ত করে দেশের সকল প্রকার অর্থনৈতিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে তাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হচ্ছে।

 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে সভাপতি এবং উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তাকে সদস্য সচিব ও সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে মোট ১৬ সদস্য বিশিষ্ট পল্লী সমাজসেবা কার্যক্রম বাস্তবায়ন কমিটি (ইউপিআইসি) উপজেলা পর্যায়ে এ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে।

 

পরিসংখ্যান:

  • কার্যক্রম প্রথম শুরু: ১৯৭৪ খ্রিস্টাব্দ
  • আওতাভুক্ত উপজেলা সংখ্যা: ৪৮৯ টি
  • উপকৃত পরিবার সংখ্যা: ২৪.১৫ লক্ষ
  • মোট প্রাপ্ত তহবিল: ২৩৯.৩৩ কোটি টাকা
  • বিনিয়োগকৃত অর্থের পরিমাণ: ১৮৬.৭৮ কোটি টাকা
  • পুনঃ বিনিয়োগকৃত অর্থের পরিমাণ: ৪৪৫.২১ কোটি টাকা
  • মূল অর্থ আদায়ের হার: ৯৪%
  • আদায়কৃত সার্ভিস চার্জ: ৪৬.৭১ কোটি টাকা
  • দলীয় সঞ্চয়ের পরিমাণ: ১৪.০২ কোটি টাকা

 

সেবা:

  • দরিদ্র জনগণকে সংগঠিত করে উন্নয়নের মূল স্রোতধারায় নিয়ে আসা;
  • দরিদ্রতা বিমোচন ও জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন;
  • সচেতনতামূলক উদ্বুদ্ধকরণ এবং দক্ষতা উন্নয়ন;
  • পরিবার প্রতি সর্বনিম্ন ৫,০০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৩০,০০০ টাকা পর্যন্ত ক্ষুদ্রঋণ ;
  • আদায়কৃত সার্ভিস চার্জের অর্থ দিয়ে লক্ষ্যভুক্ত ব্যক্তিদের টেকসই সংগঠন (পল্লী সমাজেসবা গ্রাম সমিতি) সৃষ্টি ও গ্রাম সমিতি’র নিজস্ব পুঁজি গঠন।

সেবা গ্রহীতা:

  • নির্বাচিত গ্রামের বাসিন্দা;
  • পল্লী সমাজসেবা কর্মদলের দলীয় সদস্য;
  • যে সদস্যের পরিবারের বার্ষিক গড় আয় ৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত (দরিদ্রতম) ‘ক’ শ্রেণি
  • পরিবারের বার্ষিক গড় আয় ৫০,০০১ টাকা থেকে ৬০,০০০ টাকা পর্যন্ত (দরিদ্র) ‘খ’শ্রেণি
  • পরিবারের বার্ষিক গড় আয় ৬০,০০১ টাকার ঊর্ধেব (দারিদ্র্যসীমার ঊর্ধে) ‘গ’ শ্রেণি
  • ‘ক’ ও ‘খ’শ্রেণি ক্ষুদ্রঋণসহ অন্যান্য সেবা এবং গ শ্রেণি সুদমুক্ত ঋণ ব্যতীত অন্যান্য সামাজিক সেবা;

 

কার্যক্রম বাস্তবায়ন সংশ্লিষ্টগণ:

কেন্দ্রিয় পর্যায়ে সমাজসেবা অধিদফতরের কার্যক্রম শাখা এ কার্যক্রমটি বাস্তবায়নের দায়িত্ব পালন করে থাকে। পরিচালক (কার্যক্রম) এর নেতৃত্বে একজন অতিরিক্ত পরিচালক, একজন উপ-পরিচালক, ১ জন সহকারী পরিচালক, ২ জন উপ-সহকারী পরিচালক, ১ জন সমাজসেবা অফিসার সদর দপ্তর পর্যায়ে এবং মাঠপর্যায়ে ৪৮৯ জন উপজেলা সমাজসেবা অফিসার এ কার্যক্রম বাস্তবায়নের সাথে সংশ্লিষ্ট।

 

জেলা পর্যায়ের ৬৪টি জন উপ-পরিচালক ও ৪২ জন সহকারী পরিচালক মাঠ পর্যায়ের কার্যক্রম তদারকি এবং মাঠ পর্যায় ও সদর দপ্তরের মধ্যে সমন্বয় সাধন করে থাকেন। উপজেলায় পল্লী সমাজসেবা কার্যক্রম বাস্তবায়ন কমিটি কার্যক্রমটি’র বাস্তবায়ন কর্তৃপক্ষ। উপজেলা সমাজসেবা অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার কার্যক্রম বাস্তবায়ন কমিটির যথাক্রমে সদস্য-সচিব ও সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব প্রাপ্ত। ইউনিয়ন সমাজকর্মী ও ট্রেনিং ইন্সট্রাকটরগণ গ্রাম পর্যায়ে সেবা গ্রহীতাগণের সাথে সরাসরি কাজ করে থাকেন। উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের ফিল্ডসুপারভাইজার ইউনিয়ন সমাজকর্মী ও ট্রেনিং ইন্সট্রাকটরগণের কার্যক্রম তদারকী করেন এবং কার্যক্রমের সার্বিক সমন্বয়ে সমাজসেবা কর্মকর্তাকে সহায়তা করেন।

 

সেবাদান কেন্দ্র:

৪৮৯টি উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়;

 

কার্যাবলি:

  • গ্রাম নির্বাচন;
  • গ্রাম জরিপ;
  • লক্ষ্যভুক্ত দরিদ্র জনগোষ্ঠিকে সংগঠিত করে দলগঠন;
  • গ্রাম/মহল্লা কমিটি গঠন;
  • সাক্ষর জ্ঞান প্রদান;
  • বিভিন্ন সামাজিক বিষয়ে উদ্বুদ্ধকরণ;
  • (পরিবার পরিকল্পনা, বাড়ীর আঙ্গিনায় সব্জিচাষ, সামাজিক বনায়ন, নিরাপদ পানি পান, স্যানিটেশন, প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিচর্যা, পুষ্টি সচেতনতা, পরিবার পরিকল্পনা, গর্ভবতী মায়ের যত্ন, শিশুদের টিকা দান, বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ, নারী নির্যাতন ও যৌতুক বিরোধী সচেতনতা, মাদক দ্রব্যের অপব্যবহার রোধ, শিশুদের স্কুলে প্রেরণ ইত্যাদি)
  • বৃত্তিমূলক ও দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ প্রদান;
  • ক্ষুদ্রঋণ প্রাপ্তির জন্য নির্ধারিত আবেদন পত্রে আবেদনপত্র গ্রহণ;
  • আর্থ সামজিক উন্নয়নে উপযুক্ত ঋণ গ্রহীতা নির্বাচন;
  • চুক্তি সম্পাদন;
  • সুদমুক্ত ক্ষুদ্রঋণ প্রদান;
  • নিজস্ব পুঁজিসহ সংগঠন তৈরীতে সহযোগিতা।

 

সেবা প্রদান পদ্ধতি (সংক্ষেপে):

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি কর্তৃক  নির্বাচিত গ্রামে ইউনিয়ন সমাজকর্মী/কারিগরি প্রশিক্ষক কর্তৃক পরিবার জরিপ সম্পন্নকরণপূর্বক  ক ও খ  গ্রুপভুক্ত পরিবারের সদস্যদেরকে নিয়ে কর্মদল গঠন ও প্রশিক্ষণ প্রদানের পর প্রত্যেক দলীয় সদস্যকে ২০ টি সামাজিক কার্যক্রম অবহিতপূর্বক অভ্যস্ত করানো হয়। অতঃপর গ্রাম কমিটি বা কর্মদল হতে প্রস্তাবিত ঋণ প্রার্থীদের আবেদনপত্র যাচাই-বাছাইপূর্বক আবেদনপত্রসহ খসড়া তালিকা সংশ্লিষ্ট সমাজকর্মী/কারিগরি প্রশিক্ষক দাখিল করেন এবং আদায়কৃত সঞ্চয় প্রকল্প গ্রাম বা কর্মদলের ব্যাংক হিসাবে জমা করেন। প্রস্ত্ততকৃত খসড়া তালিকা, আবেদনপত্র, স্কিম ফিল্ডসুপারভাইজার কর্তৃক পরীক্ষান্তে সুপারিশসহ উপজেলা সমাজসেবা অফিসারের নিকট দাখিল করেন। অতঃপর উপজেলা সমাজসেবা অফিসার ইউপিআইসির সভার আয়োজন করে ঋণ অনুমোদন করেন। অবশেষে নির্বাচিত ঋণ গ্রহীতাদের মাঝে ঋণের চেক/নগদ টাকা বিতরণের স্থান, তারিখ নির্ধারণ করে তাদের অবহিতপূর্বক ঋণ বিতরণ কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়। 

 

নাগরিকদের সহযোগিতার ক্ষেত্র:

  • সুবিধাভোগী কর্তৃক ঋণ প্রাপ্তির পর ২য় মাস হতে সমান ১০ কিস্তিতে অথবা স্কীম ভেদে ১, ২ বা ৩ কিস্তিতে ঋণের অর্থ শতকরা ১০ ভাগ সার্ভিসচার্জসহ ফেরত দেয়া;
  • একজন ঋণগ্রহীতা প্রয়োজনে সর্বাধিক তিনবার ঋণ গ্রহণ না করা;
  • দলীয় সদস্য কর্তৃক নিয়মিত নির্ধারিত হারে সঞ্চয় করা;
  • কার্যক্রমের মাধ্যমে সদস্যদের যে সকল বিষয়ে সচেতন করা হয় তা মেনে চলা;
  • কোন সুবিধাভোগী প্রাপ্ত ঋণের অর্থ নিয়মমত পরিশোধ না করলে তা আদায়ে কর্তৃপক্ষকে সহযোগিতা করা;
  • সঠিক গ্রাম/মহল্লা ও উপযুক্ত ঋণ গ্রহীতা নির্বাচনে কর্তৃপক্ষকে তথ্য সরবরাহ ও সহযোগিতা;
  • ঋণ প্রদানে কোন অসচ্ছতা পরিলক্ষিত হলে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের নিকট অবহিত করা।

প্রয়োজনীয় ফি/ট্যাক্স/আনুষঙ্গিক খরচ:

  • বিনামূল্যে

সেবা প্রদানের সময়সীমা:

  • গ্রাম/মহল্লা নির্বাচনের পর ১ম বার ঋণ প্রদান ১ মাস;
  • পুনবিনিয়োগ/২য়/৩য় পর্যায়ের ঋণ প্রদান, আবেদনের পর ২০ দিন।

নির্দিষ্টসেবা পেতে ব্যর্থ হলে পরবর্তী প্রতিকারকারী কর্মকর্তা

১. উপজেলা নির্বাহী অফিসার (সংশ্লিষ্ট উপজেলা)

২. উপপরিচালক, সংশ্লিষ্ট জেলা সমাজসেবা কার্যালয় 

৩. পরিচালক (কার্যক্রম), সমাজসেবা অধিদফতর

 

 
Share with :
facebook twitter
 

পল্লী মাতৃকেন্দ্র

পল্লী মাতৃকেন্দ্র

বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার অর্ধেক নারী, যাদের অধিকাংশই পল্লী অঞ্চলে বসবাসকারী সুবিধাবঞ্চিত। এ সকল নারীদের ক্ষমতায়ন, অর্থনৈতিক মুক্তি তথা আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্যে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় নিয়ন্ত্রণাধীন সমাজসেবা অধিদফতর ১৯৭৫ খ্রিস্টাব্দ হতে পল্লী মাতৃকেন্দ্র কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে আসছে। নারীর সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে অনগ্রসর, বঞ্চিত, দরিদ্র ও সমস্যাগ্রস্ত নারীদের সংগঠিত করে পরিবার ভিত্তিক দরিদ্রতা হ্রাস করা  হচ্ছে। এ কার্যক্রমের মাধ্যমে উপজেলা পর্যায়ের গ্রাম এলাকার লক্ষ্যভুক্ত নিম্ন আয়ের অনগ্রসর দরিদ্র নারীদের সংগঠিত করে তাদের নিজস্ব পুঁজি গঠন করা হয়। শুধুমাত্র জন্মদানে সক্ষম নারীদের অংশগ্রহণে পল্লী মাতৃকেন্দ্র কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

 

বর্তমানে দেশের ৬৪ জেলার ৩১৮টি উপজেলায় এ কর্মসূচিটি চালু রয়েছে। পল্লী মাতৃকেন্দ্রের মূল লক্ষ্য হচ্ছে গ্রামের দরিদ্র নারীদের ছোট পরিবার গঠনের উপকারিতা, বয়স্ক শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি, মা ও শিশুযত্ন সম্পর্কে অবহিত এবং উদ্বুদ্ধকরণের পাশাপাশি দরিদ্রতম জনগোষ্ঠীর অর্থনৈতিক উন্নয়নের লক্ষ্যে ক্ষুদ্রঋণ প্রদান, সঞ্চয় সৃষ্টি ও অর্থকরী লাভজনক কর্মকান্ডের মাধ্যমে আয় বৃদ্ধির ব্যবস্থা করা। প্রতিজন সদস্যকে ৩০০০ টাকা থেকে ৫০০০ টাকা পর্যন্ত সুদমুক্ত ক্ষুদ্রঋণ প্রদান করা হয়। ১০% সার্ভিস চার্জসহ সমান ১০টি কিস্তিতে সর্বোচ্চ ১ বছর মেয়াদে এ ঋণ পরিশোধযোগ্য।

 

পরিসংখ্যান:

  • মাতৃকেন্দ্রের সংখ্যা: ১২,৯৫৬টি
  • আওতাভুক্ত ইউনিয়ন সংখ্যা: ৩,১০৫টি
  • আওতাভুক্ত গ্রামের সংখ্যা: ১২,৯৫৬টি
  • প্রাপ্ত তহবিল: ৩৯.৮১ কোটি টাকা
  • বিনিয়োগকৃত অর্থের পরিমাণ: ৩৯.৮১ কোটি টাকা
  • পুনঃ বিনিয়োগকৃত অর্থের পরিমাণ: ১৩০.৩৭ কোটি টাকা
  • আদায়কৃত সার্ভিস চার্জ: ১০.৯৪ কোটি টাকা
  • দলীয় সঞ্চয়ের পরিমাণ: ৬.৬৯ কোটি টাকা
  • মূল অর্থ আদায়ের হার: ৯৬%
  • উপকৃত পরিবার সংখ্যা: ৮.৫০ লক্ষ

 

সেবা:

  • দরিদ্র নারীদের সংগঠিত করে উন্নয়নের মূল স্রো্তধারায় নিয়ে আসা;
  • দরিদ্রতা বিমোচন ও জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন;
  • পরিকল্পিত পরিবার তৈরীতে সহায়তা প্রদান;
  • জাতীয় জনসংখ্যা কার্যক্রম বাস্তবায়ন সংশ্লিষ্ট সেবা;
  • সচেতনতামূলক উদ্বুদ্ধকরণ এবং দক্ষতা উন্নয়ন;
  • ৩ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত ক্ষুদ্রঋণ;
  • লক্ষ্যভুক্ত নারীদের সংগঠনের নিজস্ব পুঁজি গঠন।

 

সেবা গ্রহীতা:

  • নির্বাচিত গ্রামের বাসিন্দা
  • পল্লী মাতৃকেন্দ্র কর্মদলের দলীয় সদস্য
  • মাথাপিছু পারিবারিক আয় ৩৪০০ টাকা

 

কার্যক্রম বাস্তবায়ন সংশ্লিষ্টগণ:

সমাজসেবা অধিদফতরের কার্যক্রম শাখা এ কার্যক্রম দু’টি বাস্তবায়ন করে থাকে। পরিচালক (কার্যক্রম) এর নেতৃত্বে একজন অতিরিক্ত পরিচালক, একজন উপ-পরিচালক, ২ জন সহকারী পরিচালক, ১ জন হিসাব রক্ষক, ১ জন সমাজসেবা অফিসার সদর দপ্তর পর্যায়ে এবং মাঠপর্যায়ে ৪৮১ জন উপজেলা সমাজসেবা অফিসার এ কার্যক্রম বাস্তবায়নের সাথে সংশ্লিষ্ট। জেলা পর্যায়ের ৬৪টি জন উপ-পরিচালক ও ২২ জন সহকারী পরিচালক মাঠ পর্যায়ের কার্যক্রম তদারকি এবং মাঠ পর্যায় ও সদর দপ্তরের মধ্যে সমন্বয় সাধন করে থাকেন। মাঠ পর্যায়ে উপজেলার কার্যক্রম বাস্তবায়ন কমিটি কার্যক্রম বাস্তবায়ন কর্তৃপক্ষ। উপজেলা সমাজসেবা অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার কার্যক্রম বাস্তবায়ন কমিটির যথাক্রমে সদস্য-সচিব ও সভাপতি হিসেবে কাজ করেন।

 

সেবাদান কেন্দ্র:

  • ৩১৮টি উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়।

 

কার্যাবলি:

  • গ্রাম নির্বাচন;
  • গ্রাম জরিপ;
  • লক্ষ্যভুক্ত দরিদ্র জনগোষ্ঠিকে সংগঠিত করে দলগঠন;
  • গ্রাম/মহল্লা কমিটি গঠন;
  • সাক্ষর জ্ঞান প্রদান;
  • বিভিন্ন সামাজিক বিষয়ে উদ্বুদ্ধকরণ;
  • (পরিবার পরিকল্পনা, বাড়ীর আঙ্গিনায় সব্জিচাষ, সামাজিক বনায়ন, নিরাপদ পানি পান, স্যানিটেশন, প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিচর্যা, পুষ্টি সচেতনতা, পরিবার পরিকল্পনা, গর্ভবতী মায়ের যত্ন, শিশুদের টিকা দান, বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ, নারী নির্যাতন ও যৌতুক বিরোধী সচেতনতা, মাদক দ্রব্যের অপব্যবহার রোধ, শিশুদের স্কুলে প্রেরণ ইত্যাদি)
  • বৃত্তিমূলক ও দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ প্রদান;
  • ক্ষুদ্রঋণ প্রাপ্তির জন্য নির্ধারিত আবেদন পত্রে আবেদন;
  • আর্থ সামজিক উন্নয়নে উপযুক্ত ঋণ গ্রহীতা নির্বাচন;
  • চুক্তি সম্পাদন;
  • সুদমুক্ত ক্ষুদ্রঋণ প্রদান;
  • নিজস্ব পুঁজিসহ সংগঠন তৈরীতে সহযোগিতা।

 

নাগরিকগণের সহযোগিতার ক্ষেত্র:

  • সুবিধাভোগী কর্তৃক ঋণ প্রাপ্তির পর ২য় মাস হতে সমান ১০ কিস্তিতে অথবা স্কীম ভেদে ১, ২ বা ৩ কিস্তিতে ঋণের অর্থ শতকরা ১০ ভাগ সার্ভিসচার্জসহ ফেরত দেয়া;
  • দলীয় সদস্য কর্তৃক নিয়মিত নির্ধারিত হারে সঞ্চয় করা;
  • কার্যক্রমের মাধ্যমে সদস্যদের যে সকল বিষয়ে সচেতন করা হয় তা মেনে চলা;
  • কোন সুবিধাভোগী প্রাপ্ত ঋণের অর্থ নিয়মমত পরিশোধ না করলে তা আদায়ে কর্তৃপক্ষকে সহযোগিতা করা;
  • সঠিক গ্রাম/মহল্লা ও উপযুক্ত ঋণ গ্রহীতা নির্বাচনে কর্তৃপক্ষকে তথ্য সরবরাহ ও সহযোগিতা;
  • ঋণ প্রদানে কোন অসচ্ছতা পরিলক্ষিত হলে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের নিকট অবহিত করা।

 

সেবা প্রদানের সময়সীমা:

  • গ্রাম/মহল্লা নির্বাচনের পর ১ম বার ঋণ প্রদান ১ মাস;
  • পুনবিনিয়োগ/২য়/৩য় পর্যায়ের ঋণ প্রদান, আবেদনের পর ২০ দিন।

 

 
Share with :
facebook twitter
 
 
 

দগ্ধ ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের পুনর্বাসন কার্যক্রম

সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় দেশের দগ্ধ ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের উন্নয়নের লক্ষ্যে এ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে আসছে। দগ্ধ ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন কর্মকান্ডে সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় নিয়ন্ত্রণাধীন সমাজসেবা অধিদফতরের মাধ্যমে এ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। এ কার্যক্রমের মাধ্যমে দেশব্যপী সকল উপজেলা ও শহর এলাকায় লক্ষ্যভুক্ত দগ্ধ ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের আর্থ-সামজিক উন্নয়ন ও তাদের পরিবার ভিত্তিক দারিদ্র্য বিমোচনে বিশেষ ভুমিকা রাখছে। ‘এসিডদগ্ধ মহিলা ও শারীরিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের পুনর্বাসন কার্যক্রম’ নামে ২০০২-০৩ অর্থ বছর থেকে এ কর্মসূচি শুরু করা হয় এবং এপ্রিল ২০১০ থেকে এ কর্মসূচির নাম পরিবর্তন করে ‘এসিডদগ্ধ ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের পুনর্বাসন কার্যক্রম’ করা হয়। পরবর্তীতে সকল ধরণের দগ্ধ ব্যক্তিকে কর্মসূচির অন্তর্ভুক্ত করার লক্ষ্যে নীতিমালা সংশোধন পূর্বক মার্চ’২০১৬ থেকে কর্মসূচির নাম পরিবর্তন করে “ দগ্ধ ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের পুনর্বাসন কার্যক্রম ” করা হয়। এ কার্যক্রম দেশের দরিদ্র দগ্ধ ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। এ কর্মসূচির মাধ্যমে দগ্ধ ব্যক্তিদের দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা নিশ্চিত করাসহ দগ্ধ ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে তাদের দক্ষতাভিত্তিক অথবা ব্যক্তি যে কাজে অভিজ্ঞ ও পারদর্শী সে কাজের জন্য তাকে অথবা তার পরিবারকে ক্ষুদ্রঋণ সহায়তা প্রদান করাই এ কর্মসূচির উদ্দেশ্য।

 

সেবা:

১। ক্ষুদ্রঋণ : দগ্ধ ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তি যাদের মাথাপিছু বার্ষিক গড় আয় ১,০০,০০০.০০ টাকার ঊর্ধ্বে নয়, তাদেরকে ৫,০০০ টাকা থেকে ৩০,০০০.০০ টাকা পর্যন্ত সুদমুক্ত ক্ষুদ্রঋণ দেওয়া হয়ে থাকে। ঋণ গ্রহণের পর ৫% সার্ভিসচার্জসহ সমান ২০ কিস্তিতে পরিশোধ করতে হয়।

 

২। চিকিৎসা সহায়তা : দগ্ধ দরিদ্র ব্যক্তিকে এককালীন চিকিৎসা সহায়তা বাবদ সর্বোচ্চ ২০,০০০.০০ টাকা পর্যন্ত অনুদান প্রদানের ব্যবস্থা রয়েছে।

 

সেবা গ্রহীতা:

নিম্ন আয়ের দগ্ধ ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তি যাদের মাথাপিছু বার্ষিক গড় আয় ১,০০,০০০.০০ টাকার ঊর্ধ্বে নয়।

 

 

সেবাদান কেন্দ্র:

 

৪৮৯টি উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়;

৮০টি শহর সমাজসেবা কার্যালয়।

 

কার্যাবলি:

দগ্ধ ও প্রতিবন্ধী জরিপ;

প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের তালিকাভূক্তি

বৃত্তিমূলক/সামাজিক ও স্বাস্থ্য বিষয়ক ওরিয়েন্টেশন

স্কীমসহ নির্ধারিত ফর্মে আবেদন

স্কীম এর সম্ভব্যতা যাচাই

উপযুক্ত ঋণ গ্রহীতা নির্বাচন;

সুদমুক্ত ক্ষুদ্রঋণ প্রদান;

 

নাগরিকদের সহযোগিতার ক্ষেত্র:

 

সুবিধাভোগী কর্তৃক ঋণ প্রাপ্তির পর তৃতীয় মাস হতে সমান ২০ কিস্তিতে অথবা স্কীম ভেদে ১, ২ বা ৩ কিস্তিতে ঋণের অর্থ শতকরা ৫ ভাগ সার্ভিসচার্জসহ ফেরত দেয়া;

দলীয় সদস্য কর্তৃক নিয়মিত নির্ধারিত হারে সঞ্চয় করা;

কার্যক্রমের মাধ্যমে সদস্যদের যে সকল বিষয়ে সচেতন করা হয় তা মেনে চলা;

কোন সুবিধাভোগী প্রাপ্ত ঋণের অর্থ নিয়মমত পরিশোধ না করলে তা আদায়ে কর্তৃপক্ষকে সহযোগিতা করা;

সঠিক গ্রাম/মহল্লা ও উপযুক্ত ঋণ গ্রহীতা নির্বাচনে কর্তৃপক্ষকে তথ্য সরবরাহ ও সহযোগিতা;

ঋণ প্রদানে কোন অসচ্ছতা পরিলক্ষিত হলে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের নিকট অবহিত করা।

 

সেবা প্রদানের সময়সীমা:

 

কার্যক্রম বাস্তবায়ন কমিটি কর্তৃক উপযুক্ত ঋণ গ্রহীতা নির্বাচনের পর সর্বোচ্চ ১৫ কর্ম দিবস।

 

সেবা পাওয়ার জন্য যার সাথে যোগাযোগ করতে হবে:

 

উপজেলা সমাজসেবা অফিসার, সকল উপজেলা;

সমাজসেবা অফিসার, সকল শহর সমাজসেবা কার্যালয়;

 

বাস্তবায়ন তথ্যাদি :

বিষয়

পরিসংখ্যান

প্রাপ্ত তহবিল

 ৮৬.৪৯  কোটি টাকা

ক্ষুদ্রঋণ হিসেবে বিনিয়োগকৃত অর্থের পরিমাণ

 ৮২.৫১ কোটি টাকা

পুনঃবিনিয়োগকৃত অর্থের পরিমাণ

 ৯৯.১৩ কোটি টাকা

মূল অর্থ আদায়ের হার

 ৬৯%

উপকৃত পরিবার সংখ্যা

 ১.৬৫ লক্ষ

আদায়কৃত সার্ভিস চার্জ

 ৫.৫৯ কোটি টাকা

ব্যক্তিগত সঞ্চয়ের পরিমাণ

 ১.৪৪ কোটি টাকা

 

 

আশ্রয়ন প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ের ঋণ কর্মসূচি:

 

সমাজসেবা অধিদফতর ২০০১ থেকে আশ্রয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। পল্লী এলাকার দরিদ্র ভূমিহীন, গৃহহীন, ছিন্নমূল পরিবারকে প্রশিক্ষণ ও ক্ষুদ্রঋন প্রদান করে পুনর্বাসন করাই এ কর্মসূচির উদ্দেশ্য। দেশের ৫৭টি জেলার ১৮১টি উপজেলায় কর্মসূচি বাস্তবায়িত হচ্ছে। এ কর্মসূচিতে তহবিলের পরিমাণ ২০ কোটি ৭৩ লক্ষ ১৮ হাজার টাকা। এ কর্মসূচির আওতায় সুফলভোগীর সংখ্যা ৬১ হাজার ৮৭৪ জন।  


Share with :